গাইবান্ধা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ও জেলা মহাফেজখানায় রক্ষিত জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদির বালাম বহিতে কাটাছেড়া ঘষামাঝার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলছে। এসব ঘটনার সহিত জড়িত অফিসের কর্মচারীদের একটি সিন্ডিকেট কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে বালাম বহির পাতা কাটাছেড়া ঘষামাঝা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে বালাম বহির পাতা ছিড়ে নিয়ে পুরো দলিলের অস্তিত্ব বিলীন করে দিচ্ছে। কিন্তু জনগনের অতিগুরুত্বপূর্ণ সম্পদ দলিলের বালাম বহির পাতা কাটাছেড়া ঘষামাঝা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন থেকে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে।
এসব ঘটনায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা। জেলা মহাফেজ খানায় সংরক্ষিত ১৯৬১ ইং সালে সম্পাদিত সুন্দরগঞ্জ থানার দলিল নং ১০৬৩ বালাম নং ২৭ পৃষ্ঠা ২২৪-২২৫ এর পাতা ছেড়ার ঘটনায় জেলা মহাফেজ খানার পিয়ন জিহাদ সরকার, আশরাফ আলী, সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবীশ ফৌজিয়া আক্তার ও জোহরা বেগম চায়নাকে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে না সে মর্মে শোকজ করেন সদর সাব-রেজিষ্ট্রার মঞ্জুরুল ইসলাম। কিন্তু অদ্যবধি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।
এদিকে সদর উপজেলার ১৭/০৬/২০০৭ ইং তারিখের ২৮৪৫ ও ১১/০৫/২০০৮ ইং তারিখের ২৮২১ দলিলের বালাম বহির পাতা কাটাছেড়া ও ঘষামাঝার ঘটনায় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক পিয়ন মো. জাকিরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হলেও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। ফলে বালাম বহির পাতা কাটাছেড়া ঘষামাঝার সাথে জড়িত সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে থেকে একের পর এক বালাম বহির পাতা কাটাছেড়া ঘষামাঝা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ জনগন। দলিলের বালাম বহি একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক বলে মনে করেন ভূক্তভোগীমহল। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটতেই থাকবে এমন ধারনা করছেন সচেতন মহল।