প্রতি বছর কোটি টাকা বরাদ্দ করে বিভিন্ন বাঁধের সংস্কার করা হলেও গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থান অবহেলা অযত্নে ধ্বসে গিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কাজের মান খারাপ হওয়ায় বাঁধ নির্মানের পরের বছর থেকে ধ্বস ঠেকাতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে এবারও শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ২০ টি অংশে ধ্বসে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বন্যা আতংকে ভুগছেন গাইবান্ধা শহরবাসী ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ২০১৯ সালের শুরুর দিকে শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশে বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করে। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি বছর নদীর পানি ফুঁসে উঠলেই বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলে ছিদ্র ও ধ্বস শুরু হয়। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের ৩ কিলোমিটার অংশ সংস্করণ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা করেনি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান গুলো যে কোন মুহুর্তে এসব ক্ষত অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাঁধ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে শহরের গুরুত্বপুর্ণ জায়গা। ঘাঘট নদীতে পানির চাপ বাড়লে ধ্বসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে শহর তলিয়ে যেতে পারে।
বাঁধের পাশের বাসিন্দা বক্কর মিয়া বলেন,ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে ভ্যান গাড়ি ও ঠিকঠাক নিয়ে যেতে পারি না। এমনকি বন্যার পানি বাড়লে ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ঘর বাড়ি সব ভেসে নিয়ে যাবে।
বাঁধের আর এক বাসিন্দা রেজিয়া বেগম বলেন, বালু দিয়ে বাঁধ বানিয়েছে তাই বৃষ্টিতে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গার ফলে আমাদের চিন্তা ধরছে।নদীতে পানি বাড়লে বাড়িঘর সব ভেসে নিয়ে গেলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় থাকব। তাই জরুরি যেনো বাঁধটি সংস্কার করে।
গাইবান্ধা পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুল হক বলেন, কিছু কিছু জায়গায় রেইনকার্ট হয়েছে সে গুলো আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি। কয়েক দিনের মধ্যেই ভাঙ্গা অংশ গুলো মেরামত কাজ শেষ হবে।