তথ্য গোপন করে ও ভুয়া পদ পদবী ব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তার তালিকা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রহমতপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুলভ মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়,প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য একটি তালিকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। উক্ত তালিকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক নয় এমন কিছু ভুয়া নাম দিয়েছেন। তালিকায় অটল কুমার,চারু ভূষণ বর্মন ও আঃ রহিমকে সহকারী শিক্ষক হিসাবে দেখানো হয়েছে।
তাছাড়া তালিকায় উল্লেখিত মুকুল চন্দ্র বর্মণ বিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড, আব্দুল মালেক বিদ্যালয়ের পরিছন্নকর্মী ও রুবন আক্তার বিদ্যালয়ের এমএলএসএস (পিয়ন) হিসেবে কর্মরত। তারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত নয়। এসব ভুয়া ও তথ্য গোপনকারী ব্যাক্তি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করে প্রশিক্ষন ভাতা গ্রহন করেছেন। প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মন এসব ব্যক্তিদের নিকট হতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নির্বাচন অফিসে তালিকা প্রেরণ করেছেন।
এদিকে এঘটনায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুলভ মিয়া অভিযোগ দাখিল করলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্দেশে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার মোছা.রোকসানা বেগম গত ২৫ জানুয়ারি সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনী কর্মকর্তার তালিকা প্রেরণ করায় প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলা গ্রহন করে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্য একটি সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মন রহমতপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য গোপন করে এবং প্রধান শিক্ষক পদের উপযুক্ত না হয়েও নিয়োগ কমিটির সাথে যোগসাজস করে প্রধান শিক্ষকের পদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।