Dhaka ০২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




সুন্দরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • মোঃ ওমর ফারুক
  • প্রকাশ: ০৪:৫৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৯ Time View

সুন্দরগঞ্জে ধানের জমিতে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে প্রতিপক্ষের দুইজনকে হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হাফিজার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা। র‌্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বরশা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমানের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে।

র‌্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হজরত আলির সাথে একই গ্রামের আবদুল জলিলের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হজরত আলী আমন ধান চাষ করে। আদালতে মামলার রায় নিজের পক্ষে পেয়ে ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আবদুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার বিষয়টি আগেভাগে জানতে পেরে হজরত আলী গোপনে জমির পার্শ্ববর্তী তার রাইস মিল থেকে বিদ্যুতের তার পেতে সম্পুর্ণ জমি ঘিরে রাখে। পরে ওই দিন সকালে আবদুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন বেশ কিছু নারী-পুরুষ শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাত বোন মর্জিনা খাতুনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, পরে এ ঘটনায় প্রাণ হারানো তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ওই দিন রাতেই সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাবের ভাষ্য, হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হওয়ায় সাত আসামির মধ্যে আদালত তিন সহোদরকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন। কমান্ডার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে আত্মগোপনে রেখে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতেন, কিন্তু র‌্যাব-১৩ গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে আসামি হাফিজার রহমানের খোঁজার কার্যক্রম চালু রেখেছিল। পরে বৃহস্পতিবার আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ ও কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর যৌথ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার ইছাপুর বরশা বাজার এলাকা থেকে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিজেকে আত্মগোপনে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




সর্বাধিক পঠিত

গাইবান্ধায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

x

সুন্দরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৪:৫৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সুন্দরগঞ্জে ধানের জমিতে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে প্রতিপক্ষের দুইজনকে হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হাফিজার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা। র‌্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ইছাপুর বরশা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাফিজার রহমানের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে।

র‌্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হজরত আলির সাথে একই গ্রামের আবদুল জলিলের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হজরত আলী আমন ধান চাষ করে। আদালতে মামলার রায় নিজের পক্ষে পেয়ে ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আবদুল জলিল তার লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যায়। ধান কাটার বিষয়টি আগেভাগে জানতে পেরে হজরত আলী গোপনে জমির পার্শ্ববর্তী তার রাইস মিল থেকে বিদ্যুতের তার পেতে সম্পুর্ণ জমি ঘিরে রাখে। পরে ওই দিন সকালে আবদুল জলিলের আত্মীয় তসলিম উদ্দিন বেশ কিছু নারী-পুরুষ শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে ধান কাটতে নামলে প্রথমে তসলিম উদ্দিন বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার চাচাত বোন মর্জিনা খাতুনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, পরে এ ঘটনায় প্রাণ হারানো তসলিম উদ্দিনের বাবা মফিজল হক বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ওই দিন রাতেই সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাবের ভাষ্য, হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হওয়ায় সাত আসামির মধ্যে আদালত তিন সহোদরকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই আসামি হাফিজার রহমান পলাতক ছিলেন। কমান্ডার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে আত্মগোপনে রেখে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতেন, কিন্তু র‌্যাব-১৩ গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে আসামি হাফিজার রহমানের খোঁজার কার্যক্রম চালু রেখেছিল। পরে বৃহস্পতিবার আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩ ও কুমিল্লা র‌্যাব-১১-এর যৌথ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার ইছাপুর বরশা বাজার এলাকা থেকে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিজেকে আত্মগোপনে রাখার কথা স্বীকার করেছেন।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।