Dhaka ০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




গুমের নাটক সাজিয়ে গাইবান্ধায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম কর্তৃক জমি দখলের চেষ্টা

মধু মিয়া

গুমের নাটক সাজিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার টেংগরজার্নী গ্রামে। অভিযোগে জানা যায়, খামার টেংগরজানী গ্রামের সমশের আলী ব্যাপারীর পুত্র মধু মিয়া গত প্রায় ৮/৯ মাস যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয় নাই। কিন্তু মধুর বোন সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার সম্পত্তি জবর দখলের লক্ষে মধুর মেয়ের শ্বশুড় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম মধুকে গুম করার নাটক সাজায়। মধুকে গুম করার বিষয়ে থানায় মামলা না করলেও পুলিশ সদস্য সাদেকুল স্থানীয়ভাবে অপপ্রচার চালায় যে, সুফিয়া,জহুরা ও জাহানারার পরিবারের সদস্যরা মধুকে গুম করেছে। এভাবে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল। সাদেকুল খামার টেংগরজার্নী গ্রামের মৃত সমেশ উদ্দিনের পুত্র এবং কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায় কর্মরত আছে।

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারী পুলিশ সদস্য সাদেকুলের নেতৃত্বে সাদেকুলের পুত্র রাব্বী মিয়া, মৃত সমেশ উদ্দিনের পুত্র ছকু মিয়া, সদু মিয়া গংরা সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার মালিকানাধীন বিআরএস ১১৯ খতিয়ানের ৪৮ নং দাগের ৩.৬৬ শতক জমি জবর দখলের লক্ষে মাটি ভরাট করতে থাকে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার ওয়ারিশরা বাঁধা দিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করলে এবং থানা পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে সাদেকুল গংরা জমি জবর দখল করতে পারে নাই। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম সাপ্তাহিক অবিরামের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজী হন নাই।

তবে তার পুত্র রাব্বী মিয়া জানান, জমিটি আমার শ্বশুড় মধু মিয়ার। তিনি আমার স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছে। তাই আমি উক্ত জমিতে গিয়েছি।

এদিকে বিরোধীয় জমিটি বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমানের বসতবাড়ী সংলগ্ন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান সাপ্তাহিক অবিরামকে জানান, উক্ত জমির বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ায় আইনগতভাবে সমাধানের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

অবিরাম.কম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন




সুন্দরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

x

গুমের নাটক সাজিয়ে গাইবান্ধায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম কর্তৃক জমি দখলের চেষ্টা

প্রকাশ: ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গুমের নাটক সাজিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার টেংগরজার্নী গ্রামে। অভিযোগে জানা যায়, খামার টেংগরজানী গ্রামের সমশের আলী ব্যাপারীর পুত্র মধু মিয়া গত প্রায় ৮/৯ মাস যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয় নাই। কিন্তু মধুর বোন সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার সম্পত্তি জবর দখলের লক্ষে মধুর মেয়ের শ্বশুড় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম মধুকে গুম করার নাটক সাজায়। মধুকে গুম করার বিষয়ে থানায় মামলা না করলেও পুলিশ সদস্য সাদেকুল স্থানীয়ভাবে অপপ্রচার চালায় যে, সুফিয়া,জহুরা ও জাহানারার পরিবারের সদস্যরা মধুকে গুম করেছে। এভাবে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল। সাদেকুল খামার টেংগরজার্নী গ্রামের মৃত সমেশ উদ্দিনের পুত্র এবং কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায় কর্মরত আছে।

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারী পুলিশ সদস্য সাদেকুলের নেতৃত্বে সাদেকুলের পুত্র রাব্বী মিয়া, মৃত সমেশ উদ্দিনের পুত্র ছকু মিয়া, সদু মিয়া গংরা সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার মালিকানাধীন বিআরএস ১১৯ খতিয়ানের ৪৮ নং দাগের ৩.৬৬ শতক জমি জবর দখলের লক্ষে মাটি ভরাট করতে থাকে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সুফিয়া, জহুরা ও জাহানারার ওয়ারিশরা বাঁধা দিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ করলে এবং থানা পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে সাদেকুল গংরা জমি জবর দখল করতে পারে নাই। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য সাদেকুল ইসলাম সাপ্তাহিক অবিরামের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজী হন নাই।

তবে তার পুত্র রাব্বী মিয়া জানান, জমিটি আমার শ্বশুড় মধু মিয়ার। তিনি আমার স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছে। তাই আমি উক্ত জমিতে গিয়েছি।

এদিকে বিরোধীয় জমিটি বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমানের বসতবাড়ী সংলগ্ন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান সাপ্তাহিক অবিরামকে জানান, উক্ত জমির বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ায় আইনগতভাবে সমাধানের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

অবিরাম.কম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন