পলাশবাড়ী সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ১৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি খালি বস্তার হদিস মিলছে না।
এ ঘটনায় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নাজমুল হক।
তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক (ওসি-এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে চাল ও গম উধাও হওয়ায় ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত এই কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন।
এই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই গুদামে ১৩১ মেট্রিক টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমাণ খাদ্যশস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের নির্দেশে পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক নাজমুল হক স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে খাদ্যগুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন,সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লাইসুর রহমান জানান, অভিযোগটি ইতোমধ্যে দুদকে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে গাইবান্ধা সদর সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহবায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।