
প্রায় ৫শ ফিট সড়কে পানি থই থই করছে। যেন পুরোদস্তুর খাল। বিকল্প না থাকায় জনগুরুত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে দিবারাত্রি হাজার হাজার পথচারী ও বাস ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, অটোরিকসাসহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে।
এটি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারের প্রবেশদ্বারের পাকা সড়ক। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে থাকে। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়তই চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সড়কটির আশেপাশের বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পানি নিস্কাসনের ড্রেনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে কাঁদা পানিতে এককার হয়ে যায়। বিদ্যামান এ অবস্থায় পথচারী এবং যাত্রী ও মালবাহি ছোট বড় যানবাহন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
ভুক্তভোগিরা জানায়, প্রয়োজনের তাগিদে হাট বাজার করার জন্য এই সড়কে যেতে হয়। কিন্তু হাটে ঢোকার সামান্য আগেই ৫শ ফিট সড়কে জমে থাকা পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের সময় কাঁদাপানি ছিটকে পথচারীদের গাঁয়ে ও আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে কাপড় এবং মালামালে নষ্ট হয়।
এনিয়ে মাঝে মধ্যেই ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সাথে যানবাহন চালকদের তুমুল বাগবিতন্ডা ও মারমুখী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, সড়কটিতে কাঁদা পানির জন্য ক্রেতা সাধারন আসতে পারে না। ফলে এসময় আশেপাশের ব্যবসায়ীদের বেচাকেনায় অনেকটা মন্দাভাব দেখা দেয়। তারপরও এব্যাপারে কোন কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রুহুল আমিন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে পানি জমে থাকায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠতে শুরু করছে। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয় অটোবাইক চালক জাহাঙ্গীর মুকুল মিয়া ও এনামুল হক বলেন, বর্ষা মৌসুম পড়লেই এই সড়কটি দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচলের সময় দূর্ঘটনার আশংকায় ভয়ে ভয়ে গাড়ী চালাইতে হয়।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফুল মিয়া বলেন, সড়কটি দেখলে মনে হয় এটি যেন সড়ক নয় একটি খাল। এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে সর্বসাধারনের চলাচল খুবই দুস্কর হয়ে পড়ছে।
নলডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, সড়কটির ব্যাপারে ইজ্ঞিনিয়ার, ইউএনও এবং এমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। সড়কটিতে জমে থাকা পানি খুব শিগ্রই পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে একটা বরাদ্দ ধরা হয়েছে তা পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা হবে।