
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশনায় উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট এর প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতা থাকার পরও সাঘাটা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে সে বিধিবিধান মানা হয় নাই।
সাঘাটা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন) পদে বিগত ১৬/৯/২০১৩ইং তারিখে শেখ মোঃ সোহেল রানাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২০০২ সালের ২৬ নভেম্বর সোহেল রানা শিক্ষা নিবন্ধন সনদ অর্জন করে। এর আগে ২০০৯ সালে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে। ফলে কোনভাবেই সোহেল রানার ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার সুযোগ নাই। প্রকৃত পক্ষে ভূয়া ও সৃজিত অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করে সোহেল রানা প্রভাষক পদে চাকুরী হাতিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে সোহেল রানা অবিরামকে জানিয়েছেন যথারিতি কাগজপত্র দাখিল করে চাকুরীতে তিনি প্রভাষক পদে যোগদান করেছেন।
সাঘাটা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী প্রধান অবিরামকে জানান, ওই (নিয়োগের) সময় অন্য কোন প্রার্থী না পাওয়ায় তাকে ( শেখ মোঃ সোহেল রানা) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং শিক্ষক নিবন্ধন থাকায় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশনাকে গুরুত্ব প্রদান করা হয় নাই।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন যত দ্রুত সম্ভব শেখ মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে উঠাসমূহ অভিযোগ তদন্ত করে এবং অবৈধপন্থায় প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়ীদের সহ শেখ মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। অন্যথায় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হওয়ার আশংকা রয়েছে।