বামনডাংগা রেলওয়ে আই ও ডব্লিউ অফিস সংলগ্ন টি-২৩ নং বিল্ডিং রিপিয়ারিং এর নামে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারী টেন্ডার এগ্রিমেন্ট সিস্টেম এবং ওয়ার্ক অর্ডার ও বাংলাদেশ রেলওয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কাগজ ছাড়াই বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন টি-২৩ নং বিল্ডিংটির ছাদ ভেঙে এবং ছাদে ব্যবহৃত লোহার মুল্যবান গাডার ও রেলের লোহা, ইট ইত্যাদী সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষজন তরিঘরি করে ওই বিল্ডিং-এর সামনে জমায়েত হয়ে বিল্ডিংটি ভাঙ্গা বন্ধ করে দেয়। এবং লুট করে নিয়ে যাওয়া কিছু মালামাল আটক করে।
তবে নাম না প্রকাশ শর্তে স্থানীয় ক’জন ব্যাক্তি সাপ্তাহিক অবিরামকে জানিয়েছেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জে, আর এন্টারপ্রাইজ, তিস্তা, লালমনিরহাট এর স্বত্তাধিকারী রাসেল উক্ত টি-২৩ নং বিল্ডিংটির মুল্যবান মালামাল গুলো নিয়ে গেছেন। এবং বাকী মালামাল গুলো নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগন আটক করে।
তবে অন্য একটি সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানায়, এই লুটপাটের সাথে জড়িত রয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এসএসএই ওয়ার্কস বামনডাংগা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী, ট্রলিম্যান সাখাওয়াত ও চৌকিদার সাইফুল।
লুটপাটের বিষয়ে এসএসএই ওয়ার্কস বামনডাংগা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলীর নিকট মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি সাপ্তাহিক অবিরামকে জানান,লুটপাটের ঘটনা ঘটে নাই। তবে টেন্ডারের মাধ্যমে জে, আর এন্টারপ্রাইজ কাজ পেয়েছেন। অবশ্য স্থানীয় জনগণ কর্তৃক লুটকৃত মালামাল আটকের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এদিকে স্থানীয় মানুষজন উক্ত টি-২৩ নং বিল্ডিংটির মালামাল লুটের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।