সাঘাটার উল্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক কামরুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন বিদ্যালয়টির ৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ আবেদন করলে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আহসান হাবীবকে। ১ম ধাপে তদন্তের ৮ মাস অতিক্রম হলেও অজানা কারণে তদন্ত করেননি তিনি। পরবর্তীতে সাপ্তাহিক অবিরাম পত্রিকায় গত ১ সেপ্টেম্বর “সাঘাটাঃ উল্ল্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ” শীর্ষক খবর প্রকাশিত হলে গত ১২ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করেন সাঘাটা উপজেলা মাধমিক শিক্ষা অফিসার। এমনটিই নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারীরা।
এদিকে ওই তদন্ত ১৪ দিন অতিক্রম হলেও তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল না হওয়ায় বা তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে এমন গড়িমসি করায় স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাপ্তাহিক অবিরামকে জানান, তদন্ত করা হয়েছে, তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেইনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছা. কামরুন্নাহার বেগম দ্বায়িত্ব গ্রহণ করার পর হতে ছাত্রীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ গ্রহণকৃত টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে ইচ্ছে মতো খরচ করেন ও ২০২৩ ইং সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা রশিদ ছাড়াই গ্রহন করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিজের কাছে রাখেন। এ ছাড়াও এডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার দেড় মাস পরে উক্ত কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক লিঃ, ভরতখালী শাখায়- রক্ষিত বিদ্যালয়ের নামীয় হিসাব নং ৫১০১১০০০০০৯১৭ হতে ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। আবার ব্যাসিক পারফরমেন্স প্রকল্প হতে প্রাপ্ত অনুদান ৫ লক্ষ টাকা প্রকল্পের যথাযথ নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয় না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাত করেছেন।